উল্লেখ্য, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে আধুনিক ও বিশ্বমানের বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত করতে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার ঢাকা জেলার কেরাণীগঞ্জ থানার তেঘরিয়া ইউনিয়নের পশ্চিমদি মৌজায় প্রায় ২০০ একর ভূমির উপর নতুন ক্যাম্পাস নির্মাণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। সে পরিপ্রেক্ষিতে, গত ৩ অক্টোবর ভূমি মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ, এম.পি-এর সভাপতিত্বে কেন্দ্রীয় ভূমি বরাদ্দ কমিটির ১১৭ তম সভা বাংলাদেশ সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত হয় এবং ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ক্যাম্পাস স্থাপন, ভূমি অধিগ্রহণ ও উন্নয়ন’ প্রকল্পের আওতায় ঢাকা জেলার কেরাণীগঞ্জ থানার তেঘরিয়া ইউনিয়নের পশ্চিমদি মৌজায় প্রায় ২০০ একর ভূমি অধিগ্রহণের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত অনুমোদিত হয়।
উল্লেখ্য, মাস্টারপ্লান অনুযায়ী নতুন ক্যাম্পাসে একাধিক একাডেমিক ভবন, প্রশাসনিক ভবন, ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য হল, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের আবাসন ব্যবস্থা, চিকিৎসা কেন্দ্র, ক্যাফেটেরিয়া, খেলার মাঠ, সুইমিং পুল, মসজিদ এবং পরিবহণ ও আধুনিক বিশ্বমানের বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য প্রয়োজনীয় অন্যান্য অবকাঠামো নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় নতুন ক্যাম্পাসের অধিগ্রহনকৃত ভূমির ডিজিটাল সার্ভে নকশা প্রনয়ন
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় নতুন ক্যাম্পাসের প্রায় ২০০ একর জমির জরিপ যা আধুনিক প্রযুক্তি ডিজিটাল ড্রোন সার্ভের মাধ্যমে ইতিমধ্যে সম্পূর্ণ হয়েছে। প্রকল্প এলাকার বাস্তব চিত্র, জমির সীমানা, রাস্তাঘাট, পুকুর, ডোবা সহ সকল প্রকার চিত্র নকশার মাধ্যমে উপস্থাপন করা হয়, যা পরবর্তিতে মাস্টার প্ল্যান তৈরির কাজে সহযোগী হবে।১০ ফেব্রুয়ারি ২০২১-বুধবার উক্ত নকশা উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান এর নিকট হস্তান্তর করা হয় এবং ড্রোনের মাধ্যমে সম্পাদিত জরিপ কাজের ভিডিও চিত্র প্রজেক্টরের মাধ্যমেে উপাচার্য মহোদয়ের সভা কক্ষে প্রদর্শন করা হয়।এসময় ট্রেজারার অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ, রেজিস্ট্রার, পরিচালক (পরিকল্পনা, উন্নয়ন ও ওয়ার্কস), প্রধান প্রকৌশলী, প্রক্টর সহ অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।