শিক্ষার্থীদের এ সাফল্যে অভিনন্দন জানিয়ে সিএসইর চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. উজ্জ্বল কুমার আচার্য্য বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের এই সফলতায় আমরা আনন্দিত। সুযোগ-সুবিধা ও রিসোর্সের অনেক ঘাটতি থাকা সত্ত্বেও এ ধরনের বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় শিক্ষার্থীরা ভালো করছে। বিভাগ যতটা সম্ভব সহায়তা প্রদানের জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করার পাশাপাশি সবসময় অনুপ্রেরণা দিয়ে যাচ্ছে। ভবিষ্যতেও এই ধারা অব্যাহত থাকবে বলে আশা করছি।’
বিশ্বজুড়ে মর্যাদাপূর্ণ আই-ইইই এক্সট্রিম আন্তর্জাতিক প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতার ১৭তম আসরে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি)।
প্রতিযোগিতায় এবার বিশ্বের সাত হাজার ৯১টি দল অংশ নেয়। এর মধ্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসই বিভাগ থেকে পাঁচটি টিম অংশ নেয়।
‘জেএনইউএক্সটিম’ দেশের মধ্যে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করে এবং সারা বিশ্বে ৬০৪তম স্থান দখল করে। টিমের সদস্যরা হলেন সিএসই বিভাগের ১৫তম ব্যাচের নিবির জয়ধর, ১৬তম ব্যাচের মুয়াম্মার তাজওয়ার আসফি ও একই ব্যাচের মো. ইউসুফ হাসান।
এ দলগুলোর তত্ত্ববধানে টিম প্রক্টর হিসেবে ছিলেন সিএসই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. আবু লায়েক এবং ডা. সজীব সাহা। এ ছাড়াও দেশসেরাদের মধ্যে জেএনইউটিমজেড চতুর্থ, এআরফায়ার ষষ্ঠ, লোথব্রুকস ২২তম, টেইলএনএরর ২৩তম স্থান অর্জন করে।
শিক্ষার্থীদের এ সাফল্যে অভিনন্দন জানিয়ে সিএসইর চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. উজ্জ্বল কুমার আচার্য্য বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের এই সফলতায় আমরা আনন্দিত। সুযোগ-সুবিধা ও রিসোর্সের অনেক ঘাটতি থাকা সত্ত্বেও এ ধরনের বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় শিক্ষার্থীরা ভালো করছে। বিভাগ যতটা সম্ভব সহায়তা প্রদানের জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করার পাশাপাশি সবসময় অনুপ্রেরণা দিয়ে যাচ্ছে। ভবিষ্যতেও এই ধারা অব্যাহত থাকবে বলে আশা করছি।’
আইইইই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় স্টুডেন্ট ব্রাঞ্চের কাউন্সেলর ড. আবু লায়েক বলেন, ‘এ প্রতিযোগিতায় আমাদের শিক্ষার্থীদের অসাধারণ পারফরম্যান্সে আমরা আনন্দিত ও গর্বিত। আমাদের একটি দল বাংলাদেশে দ্বিতীয় এবং বিশ্বব্যাপী ৬০৪তম স্থান অর্জন করেছে। এই অর্জন তাদের কঠোর পরিশ্রম এবং প্রতিভা প্রদর্শন করে। আইইইই স্টুডেন্ট ব্রাঞ্চ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের বিশ্বমানের স্কিল অর্জনে অনুপ্রেরণা দিয়ে যাচ্ছে এবং বিভিন্ন ধরনের ওয়েবিনার, সেমিনার, ওয়ার্কশপ আয়োজনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন স্কিল বাড়ানোর চেষ্টা করে যাচ্ছে।
‘আমাদের গর্বিত করার জন্য আমাদের মেধাবী শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জ্ঞাপন করছি। পাশাপাশি নতুন উদ্যমে পরিশ্রমের মাধ্যমে আগামী দিনে বৈশ্বিক পরিসরে আরও বড় সাফল্যের আশাবাদ ব্যক্ত করছি।’
আইইইই কম্পিউটার সোসাইটি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় স্টুডেন্ট ব্রাঞ্চ চ্যাপ্টারের অ্যাডভাইজার ড. সজীব সাহা বলেন, ‘এ প্রতিযোগিতায় আমাদের শিক্ষার্থীদের সাফল্য অত্যন্ত গর্বের উৎস। পাঁচটি দল বাংলাদেশে দ্বিতীয়, চতুর্থ, ষষ্ঠ, ২২তম ও ২৩তম স্থান অধিকার করেছে; তাদের নিষ্ঠা এবং দলগত কাজকে তুলে ধরেছে। আমাদের শিক্ষার্থীদের অসামান্য পারফরম্যান্সের জন্য অভিনন্দন।
‘আমরা আমাদের শিক্ষার্থীদের সর্বোত্তম সম্ভাব্য দিকনির্দেশনা এবং সহায়তা প্রদানের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এই অর্জন শ্রেষ্ঠত্বের দিকে যাত্রার একটি স্পষ্ট উদাহরণ। আমরা আমাদের ছাত্রদের আন্তরিক অভিনন্দন জানাই এবং ভবিষ্যতে আরও বড় সাফল্যের প্রত্যাশা করছি।’
এবার বাংলাদেশ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েট, কুয়েট, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়সহ প্রায় ২০টি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। এর মধ্যে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ১৯২তম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ৬৮২তম, লিডিং ইউনিভার্সিটি ৮৭৬তম, ইউনিভার্সিটি অফ লিবারেল আর্টস ১ হাজার ২৭৯তম, নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি ২ হাজার ৯৮২তম স্থান অর্জন করে।
আই-ইইই এক্সট্রিম বৈশ্বিক বিখ্যাত প্রতিযোগিতামূলক প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা, যার আয়োজক ইনস্টিটিউট অফ ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ার্স। এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীদের ২৪ ঘণ্টা সময়ের মধ্যে জটিল, বাস্তব বিশ্বের সমস্যাগুলোর একটি সিরিজ সমাধান করতে হয়।
মর্যাদাপূর্ণ ইভেন্টটি শুধু অংশগ্রহণকারীদের সমস্যা-সমাধান ও কোডিং দক্ষতাই পরীক্ষা করে না, বরং ভবিষ্যতের প্রযুক্তি নেতাদের মধ্যে সহযোগিতা, উদ্ভাবন ও বন্ধুত্বপূর্ণ প্রতিযোগিতার মনোভাবকে উৎসাহিত করে।