logo

Copyright ©2024 Jagannath University. All Rights Reserved

News

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে “ভূমিকম্প ও দুর্যোগ প্রস্তুতি সচেতনতা” শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

  • Published
  • 24 Jul, 2025
ভূমিকম্প ও অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগের বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং প্রস্তুতিমূলক পদক্ষেপ গ্রহণে উদ্বুদ্ধ করার লক্ষ্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে “ভূমিকম্প ও দুর্যোগ প্রস্তুতি সচেতনতা” শীর্ষক এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর ক্লাইমেট, সোসাইটি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টের আয়োজনে এবং ইট’স হিউম্যানিটি ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় বুধবার ২৩ জুলাই বিজ্ঞান ভবনের ১১৩ নম্বর কক্ষে এই কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়।
কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মোঃ রেজাউল করিম, পিএইচডি। তিনি বলেন, বাংলাদেশ একটি দুর্যোগপ্রবণ দেশ, যেখানে ভূমিকম্প, ঘূর্ণিঝড়, বন্যা ও অগ্নিকাণ্ডের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের পাশাপাশি বিভিন্ন মানবসৃষ্ট দুর্যোগও প্রায়শই দেখা যায়। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় সচেতনতা, পূর্বপ্রস্তুতি এবং জনসম্পৃক্ততা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দুর্যোগ মোকাবিলায় আমাদের কেবল প্রযুক্তিগত বা অবকাঠামোগত প্রস্তুতি নয়, বরং সামাজিক ও মানবিক দৃষ্টিভঙ্গির বিকাশও জরুরি। এ ধরনের সচেতনতামূলক কর্মশালা তরুণ প্রজন্মকে দুর্যোগ মোকাবিলায় সক্ষম করে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
তিনি আরও বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগের প্রভাব নিয়ন্ত্রণে থাকলেও মানবসৃষ্ট দুর্যোগগুলো অনেক সময় হঠাৎ করে ঘটে এবং তাৎক্ষণিকভাবে বড় ধরনের প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। সে কারণে আমাদের সর্বস্তরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা চর্চা করতে হবে এবং সামাজিক দায়িত্ববোধের জায়গা থেকে সবাইকে আরও মানবিক হয়ে উঠতে হবে।
কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন সেন্টার ফর ক্লাইমেট, সোসাইটি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টের পরিচালক ড. মোঃ আব্দুল মালেক। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. সাবিনা শরমীন, ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আল-আমীন হক এবং ইট’স হিউম্যানিটি ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক মোঃ আদনান হোসেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. সাবিনা শরমীন তাঁর বক্তব্যে বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন এবং ভূমিকম্পের মতো দুর্যোগের ঝুঁকি প্রতিনিয়ত আমাদের সামনে নতুন বাস্তবতা হাজির করছে। কয়েক দশক আগেও যেসব বিষয় নিয়ে আলোচনা সীমিত ছিল, আজ তা বৈশ্বিকভাবে সংকট তৈরি করছে। এখনই সময়, এই বিষয়ে কার্যকর প্রস্তুতি গ্রহণের মাধ্যমে ঝুঁকি মোকাবিলায় আমরা যেন আরও দক্ষ হয়ে উঠতে পারি।
কর্মশালার টেকনিক্যাল সেশনে দুর্যোগ প্রস্তুতি, ভূমিকম্পের সময় করণীয় ও ঝুঁকি হ্রাস বিষয়ক দিকনির্দেশনা প্রদান করেন সেন্টারের ডেপুটি ডিরেক্টর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আব্দুল কাদের। পাশাপাশি ইউএনডিপি-এর প্রকল্প ব্যবস্থাপক অপূর্ব স্বাতি মাহবুব এবং ইট’স হিউম্যানিটি ফাউন্ডেশনের প্রতিনিধিরা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় আধুনিক কৌশল ও বাস্তবভিত্তিক প্রস্তুতির ওপর আলোকপাত করেন।
প্রায় ১৩০ জন শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত এই কর্মশালায় আলোচকেরা ভূমিকম্প ও অন্যান্য দুর্যোগে আত্মরক্ষামূলক পদক্ষেপ গ্রহণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। দিনব্যাপী কর্মসূচির সমাপ্তি ঘটে মুক্ত আলোচনা, অংশগ্রহণকারীদের মাঝে সনদপত্র বিতরণ এবং গ্রুপ ফটোসেশনের মাধ্যমে।