logo

Copyright ©2024 Jagannath University. All Rights Reserved

News

জুলাই গণঅভ্যুত্থান জাতীয় বিতর্ক উৎসব ২০২৫ এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন

  • Published
  • 27 Jul, 2025
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের চেতনাকে ধারণ করে “আমার চোখে জুলাই বিপ্লব” শ্লোগানে ২৫ জুলাই ২০২৫, শুক্রবার থেকে শুরু হলো জুলাই গণঅভ্যুত্থান জাতীয় বিতর্ক উৎসব ২০২৫। ঢাকা জেলা প্রশাসন ও ঢাকা জেলা পরিষদের পৃষ্ঠপোষকতায় এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ডিবেটিং সোসাইটির আয়োজনে জবি লোকপ্রশাসন বিভাগের সেমিনার কক্ষে উৎসবটির উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মোঃ রেজাউল করিম, পিএইচডি।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য মহোদয় বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতীয় পর্যায়ের এমন একটি বিতর্ক উৎসব আয়োজন করতে পারা আমাদের জন্য অত্যন্ত গর্বের। জুলাই বিপ্লব আমাদের ইতিহাসের এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়—এটি প্রমাণ করে দেয়, ফ্যাসিবাদী শক্তিকে পরাজিত করতে জাতিগত ঐক্য এবং বৃহৎ আন্দোলনের প্রয়োজন হয়। বর্তমান সময়ে নানা মতবিরোধ ও বিভাজনের প্রেক্ষাপটে আমাদের মনে রাখতে হবে, জুলাই বিপ্লবের মূল চেতনা ছিল একটি বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠা। সেই চেতনাকে ধারণ করেই আমাদের সামনে এগিয়ে যেতে হবে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক জনাব মোছাঃ ফুয়ারা খাতুন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. রইছ উদ্‌দীন। তিনি বলেন, একজন বিতার্কিক যুক্তি ও ন্যায়ের পথে চলেন। বিতর্কের মাধ্যমে একজন মানুষ যুক্তি বিশ্লেষণ, আত্মবিশ্বাস ও স্বাধীন মত প্রকাশের দক্ষতা অর্জন করেন। বিতার্কিকদের উচিত ভিন্নমতের প্রতি সহনশীলতা দেখানো এবং যুক্তির আলোকে সিদ্ধান্তে পৌঁছানো।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা জেলা পরিষদের প্রতিনিধিবৃন্দ প্রধান প্রকৌশলী সফিকুল ইসলাম এবং প্রশাসনিক কর্মকর্তা জনাব শাহাবুদ্দিন । সার্বিক সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করেন উৎসবের আয়োজক এবং জবি ডিবেটিং সোসাইটির মডারেটর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ নূরুল্লাহ।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত জবি শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান প্রভা স্মৃতিচারণমূলক বক্তব্য প্রদান করেন, যা উপস্থিত সকলকে আবেগাপ্লুত করে তোলে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন জবি ডিবেটিং সোসাইটির সভাপতি মাঈন আল মুবাশ্বির এবং সাধারণ সম্পাদক মো. মেহেদী হাসান।
তিনদিনব্যাপী এই বিতর্ক উৎসবের চূড়ান্ত পর্ব অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৫ আগস্ট ২০২৫। এবারের প্রতিযোগিতায় দেশের ৩২টি বিশ্ববিদ্যালয় এবং স্কুল-কলেজ পর্যায়ের ৩২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (১৬টি স্কুল ও ১৬টি কলেজ) অংশ নিচ্ছে। প্রতিটি দলের তিনজন করে বিতার্কিক অংশগ্রহণ করবেন এবং প্রতিযোগিতাগুলোতে বিচারকার্যে নিয়োজিত থাকবেন প্রায় ১০০ জন অভিজ্ঞ বিচারক।
অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, স্কুল ও কলেজ থেকে আগত বিতার্কিকগণসহ আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।