‘জুলাই বিপ্লব ২০২৪’ উদ্যাপন উপলক্ষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ত্রিমাত্রিক শিল্প ও নকশা বিভাগের উদ্যোগে রবিবার (৩ আগস্ট ২০২৫) এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিভাগীয় কক্ষে আয়োজিত এই সেমিনারে ‘বাংলাদেশের প্রতিবাদী শিল্পের বিবর্তন: ১৯৭১ থেকে জুলাই অভ্যুত্থান পর্যন্ত’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিভাগটির সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ জাহিদুল হক।
প্রবন্ধে তিনি বলেন, বাংলাদেশের বিভিন্ন আন্দোলনে শিল্পীদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ হলেও ফ্যাসিবাদী শাসনামলে তাদের চিন্তার স্বাধীনতা খর্ব করা হয়েছিল। প্রতিবাদী শিল্প পোস্টার, ব্যানার, দেয়ালচিত্র ও বডি আর্টের মাধ্যমে রূপান্তরিত হয়েছে এবং প্রযুক্তির উন্নয়নের সঙ্গে এর আরও পরিবর্তন ঘটবে। তিনি সমাজ ও রাজনীতিবিদদের সমালোচনা গ্রহণের মানসিকতা ও কার্টুনিস্টদের স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ দেওয়ার আহ্বান জানান।
ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মোঃ রইছ উদ্দীন প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, “বিপ্লবের সময় দেয়ালচিত্র ও গ্রাফিতি ছিল প্রতিবাদের অন্যতম মাধ্যম। এ ধরনের শিল্পীদের অবদানকে স্বীকৃতি দিতে হবে।” তিনি কার্টুনিস্টদের নৈতিক দায়িত্বশীলতার পাশাপাশি শিল্পের মাধ্যমে সামাজিক পরিবর্তনে ভূমিকা রাখার তাগিদ দেন।
সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন ত্রিমাত্রিক শিল্প ও নকশা বিভাগের চেয়ারম্যান ইমাম হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক মোহাঃ আলপ্তগীন। এছাড়া প্রিন্টমেকিং বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. বজলুর রশীদ খানও বক্তব্য প্রদান করেন।
অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।