জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সেল (আইকিউএসি)-এর আয়োজনে ‘ইফেকটিভ ইউজ অব এআই টুল্স ইন টিচিং, লার্নিং অ্যান্ড রিসার্চ’ শীর্ষক দিনব্যাপী প্রশিক্ষণের সমাপনী সেশন (১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, মঙ্গলবার) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের অফিস কনফারেন্স রুমে অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক মোঃ রেজাউল করিম, পিএইচডি বলেন, আদিম যুগে মানুষ পাথর ঘষে আগুন প্রজ্বালন করত, সেটিও ছিল এক ধরনের প্রযুক্তি। সময়ের সাথে সাথে সেই প্রযুক্তির বিকাশ ঘটতে ঘটতে আজ আমরা অত্যাধুনিক প্রযুক্তির যুগে এসে পৌঁছেছি। অনেক ক্ষেত্রে প্রযুক্তি মানবকল্যাণের জন্য আবিস্কৃত হলেও পাশাপাশি ভিন্ন উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয়ে ক্ষতির কারণও হয়েছে। প্রযুক্তির মতোই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) আমাদের সামনে নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করেছে। তবে এআই-এর সঠিক ও দায়িত্বশীল ব্যবহার নিশ্চিত করতে পারলে আমাদের শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম, বিশেষ করে টিচিং ও লার্নিং আরও সমৃদ্ধ ও কার্যকর হয়ে উঠবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. সাবিনা শরমীন বলেন, আমরা সমাজের বিবর্তনে দেখতে পাই, প্রযুক্তি সমাজের উন্নয়ন ও পরিবর্তনের এক গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার হিসেবে কাজ করছে। বর্তমান সময়ে এআই টুলসের ব্যবহার শিক্ষার্থীসহ সর্বস্তরের মানুষের জীবনকে বহুমাত্রিকভাবে উপকৃত করছে। আবার অনেক ক্ষেত্রে নতুন সমস্যা তৈরি করছে। বাস্তবতা হলো, আমরা প্রত্যেকেই প্রতিনিয়ত এই প্রযুক্তির সহায়তায় কাজ করে যাচ্ছি। তবে আমাদের অবশ্যই এর ব্যবহারকে গুণগতমান বজায় রেখে এবং নৈতিকতার আলোকে পরিচালনা করতে হবে। তিনি আরও বলেন, যেকোনো প্রযুক্তি মানুষের সৃষ্টি। এর পরিচালনা, পরিমার্জন ও পরিবর্ধনে মানুষকে কার্যকর ভূমিকা পালন করতে হয়। অতএব, মানুষই সর্বশ্রেষ্ঠ এবং প্রযুক্তির সঠিক ও সুফলমুখী ব্যবহার সম্পূর্ণভাবে আমাদের ওপর নির্ভর করছে।
আজকের প্রশিক্ষণে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক। তিনি শিক্ষা ও গবেষণায় AI সরঞ্জামের কার্যকর ব্যবহার, এর সুবিধা-অসুবিধা এবং সতর্কতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
আইকিউএসি’র পরিচালক অধ্যাপক ড. মোঃ আবু লায়েক-এর সভাপতিত্বে ও পরিচালনায় অনুষ্ঠিত এ প্রশিক্ষণে স্বাগত বক্তব্য রাখেন আইকিউএসি’র অতিরিক্ত পরিচালক অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ জামির হোসেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ উক্ত প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করেন।