পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী (সা.) উদ্যাপন উপলক্ষ্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ পরিচালনা কমিটির আয়োজনে বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫) বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের কনফারেন্স রুমে কিরাত ও নাতে রাসুল (সা.) প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক ও প্রতিযোগিতা আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মোঃ রইছ উদ্দীন। তিনি বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে এ বছরই প্রথমবারের মতো বৃহৎ পরিসরে ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী (সা.) উদ্যাপন হতে যাচ্ছে। এর অংশ হিসেবে বিভিন্ন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে, যাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে এর মাহাত্ম্য ছড়িয়ে দেওয়া যায়। আমরা মুসলমান, পবিত্র গ্রন্থ আল-কোরআনে রয়েছে আমাদের পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান। তাই বেশি করে কোরআন তেলাওয়াত, আলোচনা ও গবেষণার মাধ্যমে এর নির্দেশনা অনুযায়ী জীবন গড়ার চেষ্টা করা প্রত্যেক মুসলমানের দায়িত্ব।
অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. ইমরানুল হক, অর্থ ও হিসাব দপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. শেখ মোঃ রফিকুল ইসলাম এবং পরিবহন প্রশাসক ড. তারেক বিন আতিক।
কিরাত প্রতিযোগিতায় বিভিন্ন বিভাগের মোট ২৬ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। এতে বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ নূরুল্লাহ, সহযোগী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ খাইরুল ইসলাম এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের পেশ ইমাম জনাব মোঃ ছালাহ্ উদ্দিন।
পরবর্তীতে নাতে রাসুল (সা.) প্রতিযোগিতায় বিভিন্ন বিভাগের ২৭ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। এ প্রতিযোগিতার বিচারক হিসেবে ছিলেন সমাজকর্ম বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোস্তফা হাসান, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোঃ ইব্রাহীম খলিল এবং সংগীত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোঃ মাহমুদুল হাসান। এছাড়া অনুষ্ঠানে সংগীত বিভাগের চেয়ারম্যান ড. অণিমা রায় উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী (সা.) উদযাপন উপলক্ষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে এ বছরই প্রথমবারের মতো কেন্দ্রীয়ভাবে একটি বৃহৎ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হচ্ছে। আগামী ২১ সেপ্টেম্বর উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন। কেন্দ্রীয় আয়োজনের অংশ হিসেবে কিরাত, নাতে রাসুল (সা.), রচনা ও ইসলামিক ক্যালিগ্রাফি প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হচ্ছে, যার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা তাদের প্রতিভা ও সৃজনশীলতা প্রকাশের সুযোগ পাচ্ছেন।