জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের আবাসন সংকট নিরসনে এক গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হিসেবে বাণী ভবন ও ড. হাবিবুর রহমান ভবন নির্মাণের দায়িত্ব ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ (বৃহস্পতিবার) বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাস স্থাপন: ভূমি অধিগ্রহণ ও উন্নয়ন শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় এই হস্তান্তর কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মোঃ রেজাউল করিম, পিএইচডি, নির্মাণসাইটের দায়িত্ব বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদর দপ্তর ২৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেড-এর অধীনস্থ ২৫ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্যাটালিয়নের প্রকল্প পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল ইফতেখার আলম-এর কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করেন।
এসময় উপাচার্য অধ্যাপক মোঃ রেজাউল করিম, পিএইচডি বলেন, শিক্ষার্থীদের জন্য দু’টি আবাসন ভবন নির্মাণের এই পর্যায়ে আসার পেছনে শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সম্মিলিত প্রয়াস রয়েছে। শেষ দিকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আন্তরিক সহযোগিতায় আমরা এই ধাপে পৌঁছাতে পেরেছি। আমরা আশা করছি, শিক্ষার্থীদের অপরিসীম যেই আবাসন প্রয়োজন রয়েছে, তা কিছুটা হলেও পূরণ হবে। এটি একমাত্র সমাধান নয়—এরপর আমরা অস্থায়ী আবাসন নির্মাণের কাজ শুরু করবো। আমাদের শিক্ষার্থীদের চাহিদা হয়তো সম্পূর্ণভাবে মেটানো সম্ভব না হলেও, কিছুটা সুরাহা হবে। আমি এই প্রকল্পের সার্বিক সাফল্য কামনা করি।
অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. সাবিনা শরমীন বলেন, এই দু’টি হল নির্মাণের মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীদের যে আবাসন সমস্যা রয়েছে, তার সামান্যতম হলেও একটা সমাধান হবে। এই নির্মাণ প্রকল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলের পারস্পরিক বোঝাপড়ার ও সহযোগিতার মাধ্যমে কাজটি যথাযথভাবে যথা সময়ে সম্পন্ন হবে বলে আমি আশাবাদ ব্যক্ত করছি।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৫ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্যাটালিয়নের প্রকল্প পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল ইফতেখার আলম বলেন, এই প্রকল্পের কাজটি নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে সম্পন্ন করার সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা থাকবে। আমরা কাজের গুণগত মান বজায় রেখে এটি সম্পন্ন করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
দায়িত্ব হস্তান্তর অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মোঃ শেখ গিয়াস উদ্দিন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগীয় চেয়ারম্যানবৃন্দ, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, প্রক্টর, বিভিন্ন হলের প্রভোস্ট, বিভিন্ন দপ্তরের পরিচালক, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, সাংবাদিক প্রতিনিধিবৃন্দ এবং সেনাবাহিনী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ।